বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্য দিয়ে বুধবার ঝিনাইদহে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকালে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে বিজয় র্যালি বের করে শহরের চুয়াডাঙ্গা স্টান্ডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদদের স্বরণে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে এক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জিয়াউর রহমান আইন কলেজের অধ্যক্ষ এসএম মশিয়ূর রহমান, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাগন বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত হয়। বাংলার আকাশে ওড়ে লাল সবুজের স্বাধীন পতাকা। চালু হয় ঝিনাইদহে অসামরিক প্রশাসন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জেলায় প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালীতে। এছাড়া শৈলকুৃপা থানা আক্রমন, কামান্না, আলফাপুর ও আবাইপুরের যুদ্ধ আজও স্মৃুতিতে অম্লান। তিনি বলেন, ইতিহাসের এই গৌরবের দিনগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন বিষয়খালী বেগবতী নদীর তীরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল বাধার সম্মুখিন হয় পাক বাহিনী। ৬ ঘন্টা তুমুল যুদ্ধের পর ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ব্রীজের পাশেই তাদের গণ কবর দেওয়া হয়। এ থেকেই জেলায় ছড়িয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ। বিভিন্ন স্থানে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। সে সময় উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের মধ্যে ছিল বিষয়খালী যুদ্ধ, গাড়াগঞ্জ যুদ্ধ, শৈলকুৃপা থানা আক্রমন, কামান্না, আলফাপুর ও আবাইপুরের যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিষয়খালী যুদ্ধে ৩৫ জন, ১৪ অক্টোবর আবাইপুর যুদ্ধে ৪১ জন ও ২৬ নভেম্বর কামান্না যুদ্ধে ২৭ জনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলায় ২৭৬ জন মুক্তিযুদ্ধা শহীদ হন।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © 2023 নিউজ বায়ান্ন ২৪
Leave a Reply