নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুওে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ দিন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। আর এক মাস আগে ১৪০ টাকা ছিল।
প্রতিকেজি আমদানী করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭০-৭৫ টাকা। যা ৭ দিন আগে ৫৫-৬০ টাকা ছিল। দেশি রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০, যা এক মাস আগে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আমদানী করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহে আগে ছিল ২০০ টাকা। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। যা আগে ২৫০ টাকা ছিল। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, এক মাস আগে ১৬৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিলিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। যা এক মাস আগে ১৩০ টাকা ছিল।
প্রতিকেজি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৩ টাকা। যা এক মাস আগে ৫০ টাকা ছিল। গত মাসে প্রতিকেজি আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৪৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সব ধরনের শিল্পপণ্যের দামও বেড়েছে। বিস্কুটের প্যাকেট আগে যেগুলো ১০ টাকা ছিল, তা এখন ১৫ টাকা। ৬৮ টাকা দামের চানাচুরের প্যাকেট ৮০ টাকা। ৩০ টাকা দামের সাবান ৫৫ টাকা।
সিলেট শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় যারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন তাদের অবস্থা আরও নাজুক নাম প্রকাশে একজন জানান, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতন পাই। মা-বাবা, স্ত্রী ও এক ছেলে নিয়ে আমার সংসার। সেখান আমিসহ তাদের খাবার জোগাড় করতে মাসে ৫০ কেজির এক বস্তা চাল ৪ হাজার, ৫ লিটার তেল ৮৫০, বাসা ভাড়া ১২ হাজার, সবজি, মাছ, ব্রয়লার মুরগিসহ তরকারি রান্নার উপকরণ কিনতে ৮ হাজার, গ্যাস সিলিন্ডার ২০০০, সাবান-ডিটারজেন্ট ও শ্যাম্পু ৫০০, মুদি বাজার আরও ২ হাজার, বিদ্যু বিল ১০০০ এবং মোবাইল টকটাইমে খরচ হয় ৫০০ টাকা। মা-বাবার হাতে ৫ হাজার টাকা দিলে সব মিলিয়ে খরচ হয় ৩৫ হাজার ৮৫০ টাকা। এছাড়া ছেলের পড়াশোনা, সবার চিকিৎসা, যাতায়াত খরচ তো আছেই।
ফলে নিত্যপণ্যের যে ভাবে দাম বাড়ছে আর যে টাকা আয় করছি, তা দিয়ে এখন আমি সব খরচ বহন করতে পারছি না। প্রতি মাসেই নতুন করে ঋণগ্রস্ত হচ্ছি। তবে আগে মাঝে মাঝে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে বের হলেও এখন তা পারছি না। বেঁচে থাকতে প্রয়োজনীয় খাবার রান্না ছাড়া কোনো ধরনের ভালো-মন্দ খাবার জুটছে না। এমন পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করতেই খুব কষ্ট হচ্ছে।
এদিকে সিলেট প্রবাসী অধ্যাসিত এলাকা হওয়াতে প্রবাসী পরিবারের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে খরচ বেড়ে যায়। তাছাড়া রযেছে প্রতিনিয়ত বিয়েসহ নানা পরিবারিক অনুষ্ঠান। সব মিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নিম্ন ও মাধ্যবিত্ত পরিবারে মানুষেরা। তাদের আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমানটি বেশি হচ্ছে বলে অনেকে জানান।
Leave a Reply