২০১৫ সালে এক বছরের জন্য গঠন করা হয়েছিল কমিটি। সে কমিটি বিলুপ্ত করা হয় ২০১৮ সালে। এরপর পাঁচ বছর ধরে কমিটি নেই রৌমারী উপজেলা ছাত্রলীগের। ফলে ঝিমিয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড। দায়সারাভাবে পালন করা হয় সাংগঠনিক কর্মসূচি। হতাশায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনটির অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। এ কারণে অনেক কর্মসূচি করতে অনীহা এসে যায়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, স্থানীয়ভাবে দেখার যেন কেউ নেই। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা মাথা ঘামান না। কেউ খোঁজখবরও নেন না।
আরেক নেতা বলেন, পাঁচ বছর ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন। তবে তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে।
নেতাকর্মীরা জানান, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সোহেল-তুষার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলার নেতারা। ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বরে এক বছরের জন্য উপজেলায় কমিটির অনুমোদন দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুজ্জামান রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুজ্জামান রনি। এতে সভাপতি হিসেবে মাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোহেল রানার নাম ঘোষণা করা হয়।
তবে কমিটি ঘোষণার ১ ঘণ্টা পার না হতেই নেতাদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগ থাকায় তা বিলুপ্ত করা হয়েছিল। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য জাহিদ হাসান সুমনকে আহ্বায়ক করে ৬৩ সদস্যের একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। সে কমিটিও গত ৭ জুলাই বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর আর আলোর মুখ দেখেনি কমিটি।
যাদুরচর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় পরিচয় দিতে পারছেন না অনেক কর্মী। এতে তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় কোথাও গিয়ে দাঁড়ানো যায় না। অভাব ও অভিযোগের কথা কোথাও বলতে পারেন না। কেউ পাত্তাও দেন না।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আগস্ট মাসের পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কমিটি দেওয়া হবে।
Leave a Reply