আন্তর্জাতিক আইন ও নীতি অনুযায়ী শিক্ষা একটি অধিকার। কিন্তু আমাদের সংবিধান শিক্ষাকে অধিকারের মর্যাদা দেয়নি। তাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা এখনো চাহিদা হিসাবেই রয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত শিশু সনদেও শিক্ষা অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। তবে রাষ্ট্রের অবশ্য কর্তব্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে অর্থাৎ শিক্ষা সাংবিধানিকভাবে অধিকার না হলেও আদর্শিকভাবে অধিকারের মর্যাদাসম্পন্ন। জাতিসংঘ ঘোষিত শিশু সনদেও শিক্ষা অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সংবিধানে শিক্ষাকে অধিকার হিসাবে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শিক্ষাকে অধিকারে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আমাদের কোমলমতি শিশুরা। বারবার একটি কথা শোনা যাচ্ছে শিক্ষা সুযোগ নয়- অধিকার। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরেও দেশে শিক্ষা মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষাকে শিগগিরই মৌলিক চাহিদার পরিবর্তে মৌলিক অধিকার হিসাবে সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত এই কারণে যে, দেশের সকল অর্জন ও উন্নয়নকে স্থায়িত্ব দেওয়ার প্রয়োজনে। দেশ স্বাধীন হওয়ার বায়ান্ন বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, রূপপুর পারমানবিক বিদুৎকেন্দ্র ও মাতার বাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে কোটি কোটি বই বিতরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন, মেট্রোরেল নির্মাণ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত ও সমাদৃত। বাইরের জগৎ যেভাবে চকচক করছে অন্তর্জগত ততবেশী মলিন হচ্ছে। অন্তর্জগতকে পবিত্র করার একমাত্র মারকোচ সুশিক্ষা। এতেই মনোনিবেশ অত্যন্ত জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুরুত্ব উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু মুজিব শিক্ষাকে সবসময় সামাজিক রূপান্তরের হাতিয়াররূপে দেখেছেন।তাঁর দূরদৃষ্টি এবং সুদূরপ্রসারী চেতনায় তিনি বুঝতে পেরেছিলেন দীর্ঘদিনের শোষণ জর্জরিত সমাজে দ্রুত সামাজিক রূপান্তর ও অগ্রগতির জন্য শিক্ষাকে বিশেষ হাতিয়াররূপে প্রয়োগ করতে হবে। প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক সমাজ সৃষ্টির স্বার্থে সকল নাগরিকের মধ্যে মেধা ও প্রবণতা অনুযায়ী শিক্ষা লাভের সুযোগ-সুবিধার সমতাবিধানের মাধ্যমে জাতীয় প্রতিভার সদ্ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেকটি মানুষ যাতে স্ব-স্ব প্রতিভা ও প্রবণতা অনুযায়ী সমাজজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের সব ক্ষেত্রে সৃজনশীল ক্ষমতা নিয়ে অগ্রসর হতে পারে, সে জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে তার বাহন হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার দক্ষতা সৃষ্টিরও বন্দোবস্ত করতে হবে।নানাবিধ কুসংস্কার, অজ্ঞতা, অনাচার ও দুর্নীতি অবসানের অনুকূল বিজ্ঞানমুখী, আদর্শবাদী ও সামাজিক উন্নয়নের পরিপোষক মনোভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যূনতম মান পর্যন্ত শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু তাঁর বিভিন্ন ভাষণে প্রয়োগমুখী অর্থনৈতিক অগ্রগতির অনুকূল শিক্ষার কথা বলেছেন। দেশের সামগ্রিক কল্যাণ ও উন্নতির উদ্দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির বিশাল দায়িত্ব শিক্ষা ব্যবস্থার। বঙ্গবন্ধু যখন দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন তখন বাংলাদেশ বিধ্বস্ত একটি দরিদ্র দেশ। সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও বঙ্গবন্ধু প্রায় ৩০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন এবং ১১ হাজার নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে প্রায় এক লাখ প্রাথমিক শিক্ষক সরকারি কর্মচারী হিসেবে আত্মীকৃত হয়েছেন।পরবর্তী সময়ে পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাব্বিশ হাজার রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করন করেন। কিন্তু উপেক্ষিত থাকে মাধ্যমিক শিক্ষা। এই মাধ্যমিক শিক্ষা হচ্ছে একজন শিক্ষার্থীর জীবনের ভিত্তি। শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের প্রায় ৯৭% শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অথচ এসকল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিরবচ্ছিন্ন ও সমৃদ্ধ করতে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তারা আজ চরম অবহেলিত। শিক্ষকদের আর্থসামাজিক মানমর্যাদা চরমভাবে অবনমিত। মাধ্যমিকে একই কারিকুলাম, একই পাঠ্যবই, বিদ্যালয়ের সময়সূচী একই, একই পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি। অথচ সরকারি বেসরকারি বৈষম্য পাহাড়সহ। যেখানে সরকারি স্কুলে শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন ১৬০০০/ বেসরকারিতে তা ১২৫০০/, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০/৫০০, বাড়িভাড়া সরকারিদের মূলবেতনের ৪৫% – ৫০% আর বেসরকারি শিক্ষক পায় মাত্র ১০০০/ টাকা।উৎসব ভাতা সরকারি ১০০% বেসরকারি ২৫%, প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক পেয়ে থাকেন দুইটি টাইমস্কেল সেক্ষেত্রে বেসরকারিরা একটাও না। সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা কোনো চাঁদা না দিয়ে অবসরে এককালীন ভাতা পেয়ে থাকেন মূল বেতনের ৯০% এর ৩০০ গুণ।বিপরীতে বেসরকারি শিক্ষকরা মূল বেতনের ৬% চাঁদা দিয়ে থাকেন।অবসরকালিন পেয়ে থাকেন মূল বেতনের ৭৫ গুণ। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাবার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক/কর্মচারী টাকা পাওয়ার পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। তাছাড়া কয়েক বছর যাবৎ কোন প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হচ্ছে। বাড়তি কর্তন করা হলেও বাড়তি সুবিধা থেকে শিক্ষকরা বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বিভিন্ন বৈষম্য অবহেলার স্বীকার। এহেন বিভাজন বৈষম্য কখনো রাষ্ট্রের জন্য শুভদায়ক নয়। এই বৈষম্যের নিরাকরণের লক্ষ্যে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা ও ক্ষোভ। এরকম মানসিকতায় শ্রেণিকক্ষে সুষ্ঠু পাঠদান কতটুকু সহায়ক তা কি নীতিনির্ধারকেরা কখনো ভেবে দেখেছেন। কেন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে না থেকে রাজপথে নেমে আসছেন? এতো অবহেলা বঞ্চনায় কিভাবে সম্ভব সুষ্ঠু পাঠদান! আমাদের বোধে নিতে হবে শিক্ষাকে। সুশিক্ষার বিস্তরণ ঘটিয়ে দক্ষ যোগ্য দেশপ্রেমিক সুনাগরিক তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নতি করা সম্ভব নয়। তার ভাষায়- “শিক্ষা হচ্ছে বড় অস্ত্র যা যে কোন দেশকে বদলে দিতে পারে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলতেন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুরের মতো প্রাকৃতিক সম্পদবিহীন দেশ শুধু মানবসম্পদ সৃষ্টি করে যদি উন্নত দেশ হতে পারে, তাহলে বাংলাদেশও একদিন উন্নত দেশ হবে। আর সে জন্যই তিনি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার সেসব উদ্যোগের কিছু ছিল তাৎক্ষণিক আর কিছু ছিল দীর্ঘমেয়াদি। শেখ হাসিনার ২০১০ সালের শিক্ষানীতির মধ্যে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনার ব্যাপক প্রতিফলন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার দেশ’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ এবং সর্বশেষ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ঘোষণা করেছেন এবং প্রত্যেকটি ভিশন সফলভাবে বাস্তবায়নে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা জাতিকে পথ দেখাবে। যারা আজ দেশ পরিচালনার দায়িত্বে, যারা আজ আইন প্রণয়ন করছেন, পরিকল্পনা করছেন, বিভিন্ন উচ্চ পদে সমাসীন, তারা তো এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়ি ডিঙিয়ে এসেছেন।শিক্ষার একেবারে গোড়ার দিকটার পর্বটা শুরু হয়েছিল যে ক্লাসরুম থেকে, সেই ক্লাসরুমের নির্মল পরিবেশে শিক্ষকরা এই দীক্ষাই দিয়েছিলেন, আকাশের কাছ থেকে উদারতার শিক্ষা নিতে, পাহাড়ের কাছ থেকে মহান অথচ মৌন হওয়ার শিক্ষা নিতে, মাটির কাছ থেকে সহিষ্ণুতা শিখতে, পাষাণের কাছ থেকে কাঠিন্য আর চাঁদের থেকে মাধুর্য শিখে নিতে বলেছিল। মৌলিক উপলব্ধিটা সেই অপার আনন্দেই নিহিত। এই উপলব্ধি শুধু একটা কবিতার সারকথা কিন্তু নয়, এটা আসলে জীবনেরই সারকথা। এই উপলব্ধি যাঁর রয়েছে, শিক্ষা এবং শিক্ষকের গুরুত্ব তথা তাৎপর্য তাঁর কাছে নিঃসন্দেহে মহত্তর। সেই ক্লাসরুমের নির্মল পরিবেশে শিক্ষকরাই যাদেরকে আকাশের কাছ থেকে উদারতার শিক্ষা নিতে দীক্ষা দিয়েছিলেন তারাইতো আজ শিক্ষকদের তথাকথিত ভাগ্য গড়ার কারিগর ও সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নকারী। তবে কেন আজো সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করন করে প্রান্তিক জনগোষ্টীর শিক্ষার সুযোগ অবারিত করা হলো না ? কেন মানুষ গড়ার কারিগর বেসরকারী শিক্ষক সমাজকে সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হলো? ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদানের অঙ্গীকার রয়েছে,পর্যায়ক্রমে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করনের সুপারিশ রয়েছে। যা আজও আলোর মুখ দেখেনি। অথচ সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই সিলেবাস ও একই যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সঙ্গত কারণে কেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আজো এই বৈষম্যের শিকার? কেন শিক্ষকগণ তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবেন? মূল বেতন স্কেল প্রদান করা স্বত্ত্বেও কেন তাঁরা আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত? কেন বেসরকারি শিক্ষকরা বৈশাখীভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাতা, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা থেকে বঞ্চিত? কেন সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহকে একযোগে জাতীয়করণ করা হচ্ছে না? কেন আংশিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হচ্ছে? এবং বিচ্ছিন্নভাবে এই জাতীয়করণ ভেদ-বিভাজন,বৈষম্যকে করছে আরো বেগবান। কেন বেসরকারি শিক্ষকদের অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছে? দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস, বাড়ি ভাড়া ভাতা ও চিকিৎসা ভাতাসহ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল, সভা-সমাবেশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন! আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিগত ১১ জুলাই থেকে তিনদিনের অবস্থান ধর্মঘট শেষে এখন চলছে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলানো কর্মসূচী। এই যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত হচ্ছে তা রাষ্ট্র বা সরকার কখনো এড়াতে পারেন না। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রের সক্ষমতা এবং সার্বিক পর্যালোচনা পূর্বক শিক্ষকদের আর্থসামাজিক মানমর্যাদা সংরক্ষণে সরকার বাহাদুর প্রয়াসী হবেন এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে কোনো ছেদ না পড়ে তা’তে মনোনিবেশ করবেন।চলমান যৌক্তিক আন্দোলনের গ্রহণযোগ্য সমাধানে ব্রতী হবেন সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক মহল। বাংলাদেশের মতো একটি দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে এ মুহূর্তে শিক্ষা খাতে যথাযথ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে আমাদের গতিশীল পদচারণা স্তিমিত হয়ে আসবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমাদের সাফল্যের সক্ষমতা সংকুচিত হয়ে পড়বে। শিক্ষাকে প্রতিটি মানুষের অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে আমাদের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে।তাইতো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পূর্ব সত্তরের নির্বাচনী ভাষণে বলেছিলেন সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর হতে পারে না। সরকারী বেসরকারি বিভাজন আর নয়,এখনই সময় বৈষম্য দূর করে শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা ফিরিয়ে এনে সুবিধা বঞ্চিত ,নিন্মবিত্ত,নিন্ম মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্টীর সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ অবারিত করা। সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়াসী হই
Leave a Reply