মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি জনসচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রমও চালানো হচ্ছে না। লৌহজংয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায় গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে ১১ জন রোগী। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট এযাবৎকাল ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪৩ জন।
সরেজমিনে দেখা যায় হালকা জ্বরের জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য লিখে দিচ্ছে কিন্তু পরীক্ষা করার জন্য কিট না থাকায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে আনছে। ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ নিয়ে প্রচুর রোগী হাসপাতালে ভিড় করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ধারার হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবীবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম,রিয়াদ ও শহিদুল ইসলাম সহ ডেঙ্গু রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রত্যেকে কোন না কোন ভাবে আসপাশের জেলা বা ঢাকা থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে এনেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজমুস সালেহীন জানান আমরা চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছি। মশাবাহিত এ রোগ থেকে বাঁচতে উপজেলাবাসীকে আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, বাসাবাড়ির ছাদ, আঙিনা পরিষ্কার রাখাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। । তিনি বলেন, বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ফুলের টবে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। এতে এডিস মশার জন্ম হতে পারে। জ্বরে আক্রান্ত হলে দ্রুত পরীক্ষা করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। আমাদের হাসপাতালের আশপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। প্রতিদিন স্বাস্থ্য শিক্ষায় ডেঙ্গূ রোগের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকা ফিতে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষার কিট কম থাকাতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা দিচ্ছি।
© স্বত্ব সংরক্ষিত © 2023 নিউজ বায়ান্ন ২৪
Leave a Reply