মৌলভীবাজার চাতলাপুর চেকপোস্ট ভায়া শমসেরনগর সড়কে ধলাই নদীর ব্রিজ আবারো ঝুকিপূর্ণ হয়ে দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা হয়েছে , তাই যানবাহন চলাচল ৪ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা না মেনে অধিক ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে এই অবস্থা বলে জানা যায়। ফলে এই ব্রিজ হয়ে ৪ দিন যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার ১২ এপ্রিল থেকে শনিবার ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।ধলাই নদীর ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি মেরামত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগ।
মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন বলেন, ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আমরা ৩ টনের অধিক ভাড়ী যানবাহন চলাচল না করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তা অমান্য করে এই ক’মাস ৫-৭ টন পর্যন্ত ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে আবারো এই ব্রিজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। তাই ঈদ সামনে রেখে যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজটি মেরামত করা হচ্ছে। মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগ সুত্র জানা যায়, মৌলভীবাজার- শমসেরনগর- চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কে ধলাই নদীর ব্রিজের মুখে সড়ক বিশাল ফাঁটল দেখা দিলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে এই সড়কে লাল পতাকা টানিয়ে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। ১২ দিন চেষ্টার পর ২৯ ডিসেম্বার অস্থায়ীভাবে যান চলাচলের জন্য এখানে একটি বেইলি ব্রিজ চালু করা হয়। কিন্তু ২৪ ঘন্টা না যেতেই কয়লা বোঝাই একটি ট্রাক উঠলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ আবারো দুর্ভোগে পড়ে। পরে মেরামত কাজ করে পুনরায় গত পহেলা জানুয়ারি আবার তা চালু করা হয়েছে।
সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট সুত্র আরও বলেন, ১৯৮৮ সালে কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর ওপর ৫২ মিটার লম্বা এবং ৩ দশমিক ৭ মিটার প্রস্তের ওই ব্রিজটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) । পরে চাতলাপুর চেকপোস্ট হয়ে অসংখ্য গাড়ি যাতায়াতের কারণে গুরুত্ব বেড়ে গেলে সড়কটি অধিগ্রহণ করে মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগ। আরও জানা যায়, মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উভয় পাশে এক কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও এখানে প্রতিনিয়ত ড্রেজার মেশিন দিয়ে ধলাই নদীর বালু উত্তোলন করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকায় অধিক বালু উত্তোলনের ফলেই নদী পাড়ের মাটি ধ্বসে পড়েছে। শুধু ব্রিজই নয়, নদীর পাড়ের প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা দিয়ে ফাঁটল দেখা দেয় , এই কারণে বড় ধরনের দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
Leave a Reply