1. admin@newsbayanno24.com : admin :
  2. newsbayanno24@gmail.com : newsbayanno24 : নিউজ বায়ান্ন ২৪ ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পদ্মা সেতুর টোল আদায় এক হাজার কোটি টাকা ছাড়াল লৌহজংয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল ফাইনাল মৌলভীবাজারে চার দফা দাবিতে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের মানববন্ধন বাউফলে চাচার হাতে ভাতিজা খুন, আসামী গ্রেপ্তার, ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন রৌমারী ও চর রাজিবপুরের ২৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি ঝিনাইদহে ৪ দফা দাবী আদায়ে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ঝিনাইদহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডিডি বিলকিস ও প্রশিক্ষক সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ অনিয়মের অভিযোগ প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে এশিয়ে কাপে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ মৌলভীবাজার জেলা শাখার ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিসহ তিনজন আটক

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্যাঁচারদ্বীপে প্যারাবন ধ্বংসের মহোৎসব চলছে

মো. আমানউল্লাহ, কক্সবাজার সংবাদদাতা
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৪৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রশাসনকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে  কক্সবাজারের সৈকত সংলগ্ন  প্যাঁচারদ্বীপে  প্যারাবন উজাড় করে কিংশুক ফার্মস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান  রিসোর্ট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন দিয়ে প্যারাবন উজাড় করার কারণে প্যাঁচার দ্বীপের  পাখির আবাসস্থল বিনষ্ট  হওয়ার  পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।গত এক মাসে  একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সমূহে  প্যারাবন নিধনের একাধিবার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও আজ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, বন বিভাগ কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দখলদারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠনের নেতারা জানান, প্যারাবন দখল করে রিসোর্ট ও মাছের খামার তৈরির কাজে জড়িত উক্ত প্রতিষ্ঠানের  সঙ্গে প্রভাবশালী  মহল জড়িত রয়েছে।মনে হয় কালো টাকার কাছে সবাই পিছু হটেছে ।কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন জানান, কক্সবাজারের প্যাঁচারদ্বীপের ভরাখালে ১৫ থেকে ২০ একরের মতো প্যারাবন আছে। প্রায় ২০ বছর আগে উপকূলীয় বন বিভাগ এই প্যারাবন সৃজন করেছিল। প্যারাবন ৪০ প্রজাতির পাখির আবাসস্থল ছিল। কিন্তু এক মাস ধরে কিংশুক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্যারাবনের অন্তত ২০ হাজার গাছপালা উজাড় করে রিসোর্ট ও মাছের খামার তৈরি করছেন। প্রতিষ্ঠানটি বনের ভেতরে ৭০০ ফুট লম্বা পাকা দেয়াল তুলে ১০ একরের বেশি প্যারাবন দখলে নিয়েছে। প্যারাবনের ভেতরে গাড়ি চলাচলের মতো রাস্তা ও মৎস্য খামারের বেড়িবাঁধ নির্মাণ অব্যাহত আছে। এখন আগুন দিয়ে ছয় একরের বেশি প্যারাবন ধ্বংস করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১০-১৫ একর প্যারাবনও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সরকারি দপ্তরের কেউ সেখানে যাননি।
গত সপ্তাহে সরেজমিনে দেখা গেছে, কিংশুকের দখল করা প্যারাবনের দক্ষিণ পাশের অংশটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া পোড়া কেওড়া ও বাইনগাছগুলো স্থানীয় লোকজন কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। কিংশুকের দখল করা প্যারাবনের ভেতরের গাছগুলোও কেটে ফেলা হচ্ছে। এ কাজে বাধা দেওয়ার মতো কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।দখল করা প্যারাবনের পূর্ব দিকে টাঙানো একটি সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছে,কিংশুক ফার্মস লিমিটেড রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তবে সাইনবোর্ডে মালিকের নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা কিংবা মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ নেই। সাইনবোর্ডের পশ্চিম পাশে তৈরি করা হয়েছে একটি টিনের ঘর। কিংশুকের পক্ষে দখলে নেয়া প্যারাবন স্থানীয় কয়েকজন লোক দেখাশোনা করেন। প্যারাবন দখল ও অবকাঠামো নির্মাণের কাজে দায়িত্বে নিয়োজিত  কিংশুকের ব্যবস্থাপক মশিউর আলমের সঙ্গে কথা বলার জন্য মশিউরের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। এ কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে মার্চের প্রথম দিকে এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলে,প্যারাবন হলেও সেটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা। রেজিস্ট্রিমূলে কিংশুক  প্যারাবন কিনে  সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করছে। খামারের জন্য বেড়িবাধ ও চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।সেখানে অনেক আগে পাকা দালান তোলা হয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সোহেল জানান, দখল ও আগুনে ধ্বংস করা প্যারাবন ২০ থেকে ২৫ বছর আগে সৃজন করা হয়েছিল। একসময় প্যারাবনে মাছ শিকার করতেন এই এলাকার মানুষ। এ ছাড়া এই বন জলোচ্ছ্বাস  থেকে উপকূলকে রক্ষা করে। তবে এক মাস ধরে প্যারাবন নিধন হচ্ছে। কিন্তু এই ধ্বংসযজ্ঞে বাধা দেয়ার মতো কেউ নেই।ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, এভাবে প্যারাবন দখলের কারণে পাখির আবাসস্থল বিনষ্ট  হওয়ার  পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। গভীর সমুদ্র থেকে মা কচ্ছপের ডিম পাড়া বন্ধ হয়ে গেছে। অবিলম্বে দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা ও প্যারাবনের ভেতরে তৈরি বেড়িবাঁধ ও পাকা দেয়াল উচ্ছেদ করা না হলে কক্সবাজারবাসী মাঠে নামবে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমির রঞ্জন সাহা জানান, প্যারাবনের গাছ উজাড় করে যেখানে স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে তা উপজেলা ভূমি প্রশাসনের জায়গা। এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিলে উপজেলা প্রশাসন নিতে পারে।

আগুনে প্যারাবন ধ্বংসের বিষয়ে জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা জানান, এ ঘটনা তাঁর জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।এর আগে ইউএনও প্যারাবন দখল ও নিধনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা জানালেও আজ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা জানান,প্যারাবন নিধনের ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা করার কথা।প্যারাবনের জায়গার মালিকানা চিহ্নিত করার জন্য স্থানীয় ভূমি অফিসের তহশিলদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তহশিলদার প্রতিবেদন দিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছে।মামলার বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তিনি ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছেন। তবে কিছুদিন আগে হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, প্যারাবন উজাড়, বেড়িবাঁধ ও সীমানাদেয়াল নির্মাণের দায়ে কিংশুকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, আজ পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। আগুন দিয়ে আরও প্যারাবন ধ্বংসের খবরও তাঁদের জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © 2023 নিউজ বায়ান্ন ২৪

প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park