বাংলাদেশের বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আজ এই বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক ইমিগ্রেশন ইলেকট্রিক গেট (ই-গেট) চালু হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বিমানবন্দরে ‘ই-গেট’ চালু করলো বাংলাদেশ, মাত্র ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করে ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন বিদেশগামী যাত্রীরা।
হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত জানা গেছে, বিমানবন্দরের ডিপার্চার (বহির্গমন) এলাকায় মোট ১২টি এবং অ্যারাইভাল (আগমনী) এলাকায় ৩টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। রোববার ও সোমবার(০৫/০৬-০৬-২০২২) পরীক্ষামূলকভাবে এ গেট ব্যবহার করা হয়েছিল। মূলত, ই-পাসপোর্টধারী যাত্রী ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট অতিক্রম করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (৭ জুন) এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং ই-পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদাত হোসাইন। তাদের সামনে ই-গেটের মাধ্যমে কয়েকজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
বিমানবন্দরে ই-গেট চালুর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। এর আগে ২০১৯ সালে শাহজালাল বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে তা চালু করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ই-গেট চালুর তাগিদ দেন। এরপর তা চালু করতে কাজ শুরু করে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ।