স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার খুব সকালে পদ্মাসেতু দেখতে পদ্মাপাড়ে চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস রানা। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী গাড়ি নিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠেন। পরে সেতুর ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত ১৬৫০ মিটার পথ পায়ে হাঁটেন। এরপর আবার গাড়িতে ওঠেন। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সেতুতে ওঠেন। সাড়ে আটটার দিকে সেতুর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে নামেন। জাজিরা প্রান্তে সেতুর সার্ভিস এরিয়া-২ তে বোনকে নিয়ে সকালের নাস্তা করেন। পরে আবার সেতু পার হয়ে ফিরে আসেন মাওয়া প্রান্তে এবং সড়কপথে ঢাকায় ফিরে যান ।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। পদ্মাসেতু নির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বাস্তবায়নের কারিগর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি নিজ চোখে দেখে প্রধানমন্ত্রী ব্যাপক আনন্দিত ও হাস্যজ্জ্বল ছিলেন।এসময় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব এবং কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ, ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু হেলিকপ্টারে চড়ে পরিদর্শন করেন এবং সেতুর ছবি ও ভিডিও প্রধানমন্ত্রীর মোবাইলে ধারণ করেন।
হাজারো প্রতিকূলতা পেরিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপ দেয়ার দ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিলে দেশীয় অর্থে একক প্রচেষ্টায় কয়েক হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন তিনি। ২০২২ সালের জুন মাস থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য স্বপ্নের সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা রয়েছে।
