আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটের গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রুবেল লন্ডনে একটি বাঙ্গালী কমিউনিটি অনুষ্ঠানে বিভ্রান্তীকর বক্তব্য দেন। বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে মন্ত্রণালয় থেকে মেয়র পদ বহিস্কারের আদেশ করা হয়। তার বক্তব্যে উল্লেখ্য ছিলো যে, কোন কাজ নিতে গেলে আগে মন্ত্রণালয়ে দিতে হয় ৫% ঘুষ তাছাড়া আরও অনেক মন্তব্য করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয় গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রুবেলকে। তিনি এ নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত এ আদেশ বাতিল করেন।
আমিনুল ইসলাম রুবেলের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোর্শেদ কামাল টিপু জানান, ২৭নং কোর্টে ডিবিশন বেঞ্চের বিচাপতি মো. খছরুরজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদুল হাসান তালুকদারের ডিবিশন বেঞ্চ ১৪ ডিসেম্বর মোসন হেয়ারিংয়ে রিট পিটিশ নাম্বার ১২৪৩৪/২০২১ শুনানি শেষে আমিনুল ইসলাম রুবেলের স্থগিত আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। এ আদেশের ফলে আমিনুল ইসলাম রুবেল গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে পুণরায় বহাল থাকতে আর কোন আইনি বাধা নেই।
আমিনুল ইসলাম রুবেলের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার চৌধুরী মোর্শেদ কামাল টিপু, সাথে ছিলেন এডভোকেট খান উজ্জল ও এডভোকেট শাহ নাবিলা কাশফি। এর আগে গেল ৬ ডিসেম্বর ‘কাজ নিতে গেলে আগে মন্ত্রণালয়ে দিতে হয় ৫%’ মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রুবেল। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই দিনই স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ আদেশের বাতিলে মেয়র আমিনুল ইসলাম রুবেল হাইকোর্টে আপীল করেন। আপীলের প্রেক্ষিতে তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।