কর্মসংস্থানের সুযোগে বদলে দিচ্ছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর অবহেলিত অসহায় নারীদের জীবনধারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতাধীন সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে এসব নারীদর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তাঁরা সড়কের সােল্ডার ও স্লাোপ মাটি ভরাট করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী (আর.ই.আর.এম.পি)-৩ ও চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক দল (এলসিএস) কর্মসূচীর আওতায় ১৮ থক ৩৫ বছর বয়সী বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, পরিবার প্রধান নারী ও ভূমি স্বত্ত্বহীন ১৪৬ জন অবহেলিত অসহায় নারী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করেন।
রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত ভুরুঙ্গামারীর নলয়া গ্রামের আরজিনা বেগম জানান, ‘রাস্তার কাজ করে মাসে ছয় হাজার টাকা পাই। এছাড়া প্রতি মাসে ব্যাংকে তিন হাজার টাকা জমা হয়। জমানো ওই টাকা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’
একই গ্রামর সামিনা আক্তার ও শাহিনা বেগম জানান, ‘আগে খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিন কাটাতাম। রাস্তার কাজ পাওয়ায় সেই কষ্ট দুর হয়ছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এজাজুর রহমান জানান, ‘উপজেলার প্রায় ১৪২ কি.মি পাকা সড়ক ও ১৮৪ কি.মি কাঁচা সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীতে দৈনিক ২৫০ টাকা মজুরিতে ১০০ জন এবং চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক দল (এলসিএস) কর্মসচীত দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিত ৪৬ জন নারী কাজ করছেন। এতে তাঁদের পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছতা এসেছে। পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচীর প্রত্যেক কর্মীর ব্যাংক হিসাবে দৈনিক ৮০ টাকা এবং চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক দল (এলসিএস) কর্মসূচীর প্রত্যেক কর্মীর ব্যাংক হিসাবে দৈনিক ১০০ টাকা জমা হয়। তিন বছর মেয়াদ শেষে তারা সঞ্চিত অর্থ লাভ সহ ফেরত পাবেন।’#